ছেলেদের জামায় বোতাম ডানে আর মেয়েদের বাঁয়ে থাকে কেন?
কেন এবং কীভাবে
ছেলেদের জামায় বোতাম ডানে আর মেয়েদের বাঁয়ে থাকে কেন?
ছেলেদের জামায় বোতাম ডানে আর মেয়েদের বাঁয়ে থাকার পেছনে একাধিক কারণ ও তত্ত্ব প্রচলিত আছে। কোনটি সত্যি তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে কিছু জনপ্রিয় ধারণা হলো:
•দাসীরা পোশাক পরিয়ে দিতেন: আগেকার সময়ে উচ্চবিত্ত নারীদের দাসীরা পোশাক পরিয়ে দিতেন। বাঁ দিকের বোতাম থাকলে ডান হাত দিয়ে সহজে বোতাম আটকানো যেত।
• পুরুষেরা তলোয়ার ব্যবহার করতেন: পুরুষরা ডান হাতে তলোয়ার ধরতেন। বাঁ হাত দিয়ে দ্রুত বোতাম খুলে তলোয়ার বের করার সুবিধার জন্য ডান দিকে বোতাম থাকত।
•ঘোড়ায় চড়ার সময়: আগে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ঘোড়া। পেছনে বসা নারীদের জন্য বোতাম খুলে না যায় সেজন্য বাঁ দিকে বোতাম থাকত।
নেপোলিয়নের স্টাইল কি?
নেপোলিয়ন বোনাপার্টের স্টাইল বলতে সাধারণত বোঝানো হয় তার শার্টের ভেতরে হাত রাখার ভঙ্গি। এটি একটি আইকনিক ভঙ্গি যা অনেক চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্যে দেখা যায়। এই ভঙ্গিটি নেপোলিয়নের ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
নেপোলিয়নের এই স্টাইলের পেছনে কিছু তত্ত্ব রয়েছে:
– স্বাচ্ছন্দ্য: কিছু গবেষক মনে করেন, নেপোলিয়ন এই ভঙ্গিটি ব্যবহার করতেন কারণ এটি তাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করাতো।
– স্বাস্থ্য সমস্যা: অন্যরা মনে করেন, নেপোলিয়নের পেটের সমস্যা ছিল এবং তিনি ব্যথা কমানোর জন্য হাত শার্টের ভেতরে রাখতেন।
– প্রতীকী ভঙ্গি: এটি তার নেতৃত্ব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এই স্টাইলটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, পরবর্তীতে অনেক নেতা ও সামরিক ব্যক্তিত্ব এটি অনুকরণ করেছেন।
কেন গরুর দুধ সাদা হয়, কিন্তু গরুর মাংস লাল হয়?
গরুর দুধ সাদা আর মাংস লাল হওয়ার পেছনে বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে। এটা রংদানী পদার্থ বা পিগমেন্টের উপর নির্ভর করে।
• দুধের সাদা রং: দুধে ক্যাসিন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন আলোকে সব দিকে ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে দুধ সাদা দেখায়।
• মাংসের লাল রং: গরুর মাংসে মায়োগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিনে আয়রন থাকে এবং এটি অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে লাল রং ধারণ করে। যখন মাংস রান্না করা হয়, তখন এই মায়োগ্লোবিনের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তিত হয় এবং মাংসের রং আরো গাঢ় লাল হয়ে যায়।
সহজ করে বললে:
• দুধ: দুধে আলোকে ছড়িয়ে দেয় এমন এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যার ফলে দুধ সাদা দেখায়।
• মাংস: মাংসে অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে লাল রং ধারণ করে এমন এক ধরনের প্রোটিন থাকে, যার ফলে মাংস লাল দেখায়।
সুতরাং, দুধ ও মাংসের রং পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের প্রোটিনের উপস্থিতির কারণে।
কেন মশা আমাদের কানে গুনগুন করে?
মশা কেন আমাদের কানের কাছে গুনগুন করে, সেটা অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে। আসলে, মশার এই গুনগুনানি শুধু বিরক্তিকরই নয়, এর পেছনে একটি বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে।
মশার গুনগুনানির কারণ:
• রক্ত খোঁজা: মশার মূল কাজ হলো রক্ত চুষে খাওয়া। আমাদের শরীর থেকে নির্গত কার্বন ডাইঅক্সাইড, তাপ এবং ল্যাকটিক এসিডের গন্ধ মশাকে আকর্ষণ করে। এই গন্ধগুলো মশাকে বোঝায় যে, এইখানে রক্ত খাওয়ার জন্য একজন মানুষ আছে।
• কানের কাছে আসার কারণ: আমাদের কানের কাছে রক্তনালী বেশি হওয়ায় এখানে তাপ বেশি থাকে। ফলে মশা সহজেই এই তাপ অনুভব করে এবং কানের দিকে আকৃষ্ট হয়।
• পंखের কম্পন: মশার দুটি পंख খুব দ্রুত কাঁপে, যার ফলে এই গুনগুনানি শব্দ হয়। এই কম্পনের মাধ্যমে মশা তার শিকারকে খুঁজে পায়।
সহজ করে বললে:
• মশা আমাদের শরীর থেকে নির্গত গন্ধ পেয়ে আমাদের কাছে আসে।
• আমাদের কানের কাছে তাপ বেশি থাকায় মশা কানের দিকে আকৃষ্ট হয়।
• মশার পंख কাঁপার ফলে এই গুনগুনানি শব্দ হয়।
কেন মশার কামড় এত বিরক্তিকর?
মশা কামড় দেওয়ার সময় আমাদের শরীরে লালা ছেড়ে দেয়। এই লালায় প্রোটিন এবং অন্যান্য পদার্থ থাকে যা আমাদের শরীরের অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এবং ফলে আমরা চুলকানি অনুভব করি।
মশা থেকে বাঁচার উপায়:
• মশারি ব্যবহার: ঘুমাতে যাওয়ার সময় মশারি টাঙিয়ে রাখলে মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়।
• মশার তরল ব্যবহার: ঘরে মশার তরল ব্যবহার করা যেতে পারে।
• শরীর ঢেকে রাখা: হাতা এবং পায়া ঢাকা পোশাক পরলে মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়।
• মশারি জালের জানালা: ঘরের জানালায় মশারি জাল লাগিয়ে রাখলে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না।