বিদ্যুতের তারে পাখি বসলে মারা যায় না কেন?
বিদ্যুতের তারে পাখি বসলে মারা যায় না কেন?
বিদ্যুতের তারে পাখি বসলে তারা সাধারণত মারা যায় না কারণ তারা শুধুমাত্র একটি তারে বসে থাকে এবং তাদের শরীরের মাধ্যমে বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটে না। বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটার জন্য দুটি ভিন্ন পয়েন্টের মধ্যে একটি সার্কিট সম্পূর্ণ হওয়া প্রয়োজন। পাখি যখন শুধুমাত্র একটি তারে বসে থাকে, তখন তাদের শরীরের মাধ্যমে বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটে না, কারণ তারা মাটির সাথে সংযুক্ত নয় বা অন্য কোনো তারের সাথে সংযুক্ত নয়।
তবে, যদি পাখি দুটি ভিন্ন তারে একসাথে স্পর্শ করে বা একটি তার এবং মাটি একসাথে স্পর্শ করে, তাহলে তাদের শরীরের মাধ্যমে বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটতে পারে এবং তারা আহত বা মারা যেতে পারে।
পেনসিলে HB বা 2B-এর অর্থ কী?
পেনসিলে HB বা 2B লেখা দেখলে অনেকেই হয়তো কৌতূহল বোধ করেন যে এই সংখ্যা ও অক্ষরগুলোর আসল অর্থ কী। আসলে এই চিহ্নগুলো পেনসিলের লেডের কঠিনতা এবং কালোর মাত্রা নির্দেশ করে।
H (Hard): এই অক্ষরটি পেনসিলের লেডের কঠিনতাকে নির্দেশ করে। H যত বেশি, লেড তত শক্ত। উদাহরণস্বরূপ, 2H পেনসিলের লেড H পেনসিলের চেয়ে আরও শক্ত।
B (Bold): এই অক্ষরটি পেনসিলের লেডের কালোর মাত্রাকে নির্দেশ করে। B যত বেশি, লেড তত কালো বা ঘন। উদাহরণস্বরূপ, 2B পেনসিলের লেড B পেনসিলের চেয়ে আরও কালো।
এবার আসা যাক HB-এর কথায়:
HB: এই চিহ্নটি হল H এবং B-এর মধ্যবর্তী একটি বিন্দু। অর্থাৎ, HB পেনসিলের লেড মধ্যম স্তরের কঠিন এবং কালো। সাধারণত স্কুলে এবং দৈনন্দিন কাজে এই ধরনের পেনসিল ব্যবহার করা হয়।
২B এর অর্থ:
2B: এই চিহ্নটি নির্দেশ করে যে পেনসিলের লেড B থেকে একটু বেশি কালো বা ঘন। এটি HB পেনসিলের চেয়ে একটু নরম এবং কালো।
সারসংক্ষেপ:
* H: কঠিন
* B: কালো
* HB: মধ্যম স্তরের কঠিন ও কালো
* 2B: B থেকে একটু বেশি কালো
কোন পেনসিল কোন কাজে ব্যবহার করা হয়:
H বা 2H: প্রকৌশল চিত্র আঁকা, নকশা আঁকা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
HB: স্কুল কাজ, নোট নেয়া, চিঠি লেখা ইত্যাদি সাধারণ কাজে ব্যবহার করা হয়।
2B বা 3B: ছবি আঁকা, শেডিং করা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
সুপার গ্লু নিজের টিউবের সঙ্গে আটকায় না কেন?
সুপার গ্লু নিজের টিউবের সঙ্গে আটকায় না কেন, এটা একটা খুবই মজার প্রশ্ন! আসলে এর পেছনে বিজ্ঞানের একটা সুন্দর কারণ লুকিয়ে আছে।
কেন সুপার গ্লু নিজের টিউবে আটকায় না:
* জলের প্রয়োজন: সুপার গ্লু আসলে ‘সায়ানোঅ্যাক্রিলেট’ নামের এক রাসায়নিক পদার্থ। এটি বাতাসের সাথে মিশে গিয়ে খুব দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু টিউবের ভেতরে বাতাস নেই বললেই হয়, তাই সেখানে জলের অভাব থাকে। জলের উপস্থিতিতে সুপার গ্লু তার জাদুকরি কাজটি করে। তাই টিউবের ভেতরে থাকা সুপার গ্লু বাতাসের সংস্পর্শে না আসার কারণে শক্ত হয় না এবং টিউবের সাথে আটকে যায় না।
* হালকা প্রলেপ: সুপার গ্লু ব্যবহার করার সময় একটু ফুঁ দিলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ ফুঁ দিলে বাতাসের সাথে জলীয় বাষ্প টিউবের মুখে আসে এবং সুপার গ্লু দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু যদি অনেক বেশি সুপার গ্লু বের করে নেওয়া হয়, তাহলে বাতাসের সাথে মিশে যাওয়ার আগেই সুপার গ্লু শুকিয়ে যায় এবং টিউবের মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে ভেতরে বাতাস প্রবেশ করতে না পারায় বাকি সুপার গ্লু শক্ত হয় না।
সুপার গ্লুর জাদু:
* সুপার গ্লু মাত্র এক বর্গ ইঞ্চি জায়গায় এক টনের বেশি ওজন ধরে রাখতে পারে।
* এটি জল ছাড়া অনেক কিছুকে জোড়া লাগাতে পারে।
* খুব দ্রুত কাজ করে।
সাবধানতা:
* সুপার গ্লু খুব শক্তিশালী। তাই অসাবধানতাবশত ত্বকে লেগে গেলে ভয় পাবেন না। কয়েকটি সাধানে এটি সহজেই দূর করা যায়।
সুতরাং, সুপার গ্লু নিজের টিউবে আটকা না থাকার পেছনে বিজ্ঞানের একটা সুন্দর কারণ লুকিয়ে আছ।
অভিযাত্রী ব্যাংক বাংলা প্রশ্ন সমাধান ২০২২ – ২৩ PDF